সোমবার, ০৬ অক্টোবর ২০২৫, ০৯:৫৪ পূর্বাহ্ন

দৃষ্টি দিন:
সম্মানিত পাঠক, আপনাদের স্বাগত জানাচ্ছি। প্রতিমুহূর্তের সংবাদ জানতে ভিজিট করুন -www.coxsbazarvoice.com, আর নতুন নতুন ভিডিও পেতে সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের ইউটিউব চ্যানেল Cox's Bazar Voice. ফেসবুক পেজে লাইক দিয়ে শেয়ার করুন এবং কমেন্ট করুন। ধন্যবাদ।

সিনহা হত্যা মামলা: পুলিশের দায়ের করা মামলার তিন সাক্ষীর ফের ৪ দিনের রিমান্ড

বিশেষ প্রতিবেদক:

টেকনাফের বাহারছড়ায় মেজর (অব.) সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান হত্যার ঘটনায় পুলিশের দায়ের করা মামলার তিন সাক্ষীকে আবারও ৪দিন করে রিমান্ড মন্জুর করেছে আদালত। মঙ্গলবার (২৫ আগস্ট) কক্সবাজার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট তামান্না ফারাহর আদালত এ রিমান্ড মন্জুর করেন। এ ঘটনায় সম্পৃক্ততার অভিযোগে র‌্যাবের একটি দল টেকনাফের মারিশবুনিয়া এলাকা থেকে গত ৯ আগস্ট পুলিশের দায়ের মামলার এ স্বাক্ষীকে গ্রেপ্তার করেছিল।

রিমান্ড প্রাপ্ত আসামীরা হলেন, টেকনাফের বাহারছড়ার মারিশবুনিয়ার নুরুল আমিন, নিজাম উদ্দীন ও মোহাম্মদ আইয়াস। এর আগে গত ২০ আগস্ট মামলার এ আসামীর প্রথম দফায় ৭ দিনের রিমান্ড শেষ হয়েছিল। মামলার তদন্তের স¦ার্থে আরো তথ্য জানার জন্য ফের রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ প্রয়োজন বলেন জানিয়েছেন, মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা র‌্যাবের এএসপি খাইরুল ইসলাম।

খাইরুল ইসলাম বলেন, ‘সিনহা মামলার আসামীদের মধ্যে এই তিনজন পাবলিক। এর আগে তাদের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিলাম। তাদের কাছ থেকে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্যও পেয়েছি। কিন্তু, অন্যান্য আসামীদের দেয়া তথ্যের সাথে আজকের রিমান্ড প্রাপ্ত আসামীদের তথ্য মিলিয়ে দেখার জন্য মুলত রিমান্ড নেয়া। যাতে ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা হয় এবং নিরহ লোক যাতে কষ্ট না পায় এবং দোষীরা যাতে সাজা পায়।’

প্রসঙ্গ, গত ৩১ জুলাই রাতে টেকনাফের মারিশবুনিয়া পাহাড়ে ভিডিওচিত্র ধারণ করে মেরিন ড্রাইভ দিয়ে কক্সবাজারের হিমছড়ি এলাকার নীলিমা রিসোর্টে ফেরার পথে শামলাপুর তল্লাশি চৌকিতে গুলিতে নিহত হন মেজর (অব.) সিনহা মো: রাশেদ। এ সময় পুলিশ সিনহার সঙ্গে থাকা সিফাতকে আটক করে কারাগারে পাঠায়। পরে রিসোর্ট থেকে শিপ্রাকে আটক করা হয়। দুজনই বর্তমানে জামিনে মুক্ত। ওই ঘটনায় ওসি প্রদীপসহ অন্য পুলিশ সদস্যরা এবং পুলিশের দায়ের করা মামলার তিন সাক্ষী প্রথমে কক্সবাজার জেলা কারাগার ও পরে আদালতের ৭ দিনের রিমান্ড আদেশের প্রেক্ষিতে জিজ্ঞাসাবাদ শেষ করেছে র‌্যাব। পরে প্রত্যেকের বিরুদ্ধে আদালতের মাধ্যমে দ্বিতীয়বারের মত ৪দিন করে রিমান্ড নেয়া হয়। সর্বশেষ পুলিশের দায়ের করা মামলা এই তিন সাক্ষীকে দিনের রিমান্ড মন্জুর করেন কক্সবাজার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক তামান্না ফারাহর আদালত।

ভয়েস/আআ

Please Share This Post in Your Social Media

© All rights reserved © 2023
Developed by : JM IT SOLUTION